কাতিলা গাম খাওয়ার উপকারিতা কি | কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম | কাতিলা গাম কখন খেতে হয় | কাতিলা গাম কোথায় পাওয়া যায়
কাতিলা খাওয়ার উপকারিতা কি | কাতিলা খাওয়ার | কাতিলা গাম কখন খেতে হয় | কাতিলা গাম কোথায় পাওয়া যায়
কাতিলা গাম
কাতিলা গাম একটি উদ্ভিদ, গন্ধহীন, স্বাদহীন, পলিস্যাকারাইডের পানির দ্রবণীয় মিশ্রণ যা উদ্ভিদের শিকড় থেকে শুকিয়ে সংগ্রহ করা হয়। দেখতে তাল মিশ্রির মত মনে হলেও কাতিলা গাম তার গুণের কোনো শেষ নেই। বিশেষ করে যারা শারীরিক সমস্যা ও যৌন দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠতে কাতিলা গাম কার্যকরি একটি হারবাল ভেষজ।
কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম
খাওয়ার নিয়ম হলো, অল্প একটু কাতিলা গম ভিজিয়ে রাখলে এটা জেলের মত হয়ে যাবে। তখন খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও শরীরের দুর্বলতা কাটাতে কাতিলা গাম খাওয়া উপকারী। পনিতে ভিজিয়ে খেতে সমস্যা হলে দুধ দিয়েও খেতে পারেন। কাতিলা গম পুরুষের যৌন শক্তি বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে।
ইসবগুলের ভুশি, কাতিলা গম,অশ্বদানা, কালোজিরা ও তালমাখনা দিয়ে মিশ্রন তৈরী করে যৌন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আশা করি কাতিলা গাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। চলুন আরো পড়ি কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম ও দাম সম্পর্কে। কাতিলা গাম এর দাম কত?
কাতিলা গাম এর উপকারিতা
মানব জীবনে কাতিলা গামের এতো যে উপকারিতা রয়েছে তা আসলে সবাই জানে না। কাতিলা গাম নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি, কাতিলা গাম সম্পর্কে আলোচনাটি অনেকেরই কাজে লাগবে।
শরীর শীতল করে কাতিলা গাম খাওয়া খুবই উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কাতিলা গাম এর উপকারিতা অনেক।
গ্রীষ্মকালীন সময়ে কাতিলা গাম এমন লোকদের হিট স্ট্রোক রোধ করতে পারে যারা গরম আবহাওয়ায় বাইরে থাকতে পারেন না। তাই গরম যাদের সহ্য হয়না তাদের নিয়মিত কাতিলা গাম খাওয়া উচিত।
এতে উচ্চ পুষ্টিগুণ ও মান রয়েছে। এই কারণেই এটি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, কোনও প্রসূতি মা এবং তার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য আরও ভাল পুষ্টি প্রয়োজন যা কাতিলা গাম পূরণ করতে সক্ষম।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে
অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং হজমের জন্য কাতিলা গাম অত্যন্ত উপকারী। এর রয়েছে রেচক প্রভাব যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে উপস্থিত এনজাইম খাবার হজম সহজ করে এবং মলত্যাগকে নিয়মিত করে।
কাতিলা গামের অ্যান্টি-এজিং এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কাজ করে। পিম্পলের দূর করার জন্যও উপকারী। এটি পিম্পলের ক্ষত নিরাময় এবং দাগ কমায়। এটি ব্রণ, ব্রেকআউট, ত্বকের পিগমেন্টেশন এবং পোড়া থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
কাতিলা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে এবং মেটাবলিজম উন্নত করে। এর উচ্চ ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট পূর্ণ রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে শরীরের উপকার করে।
কাতিলা গামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কাতিলা গাম জেল বা আঠা জাতীয় পদার্থ। এটি অন্য কোন ঔষধের সাথে গ্রহন করলে পেট এবং অন্ত্রে ওষুধের সাথে লেগে থাকতে পারে
মুখের মাধ্যমে যে ওষুধ গ্রহণ করেন তার সাথে একই সময়ে কাতিলা গাম গ্রহণ করলে শরীর ওষুধ শোষণ হ্রাস করতে পারে এবং ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
তাই, মুখের মাধ্যমে নেওয়া ওষুধের অন্তত এক ঘন্টা পরে কাতিলা গাম খাবেন।অবশ্যই এটি প্রচুর পরিমাণে পানির সাথে খেতে হবে।
আপনি যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন তবে এটি অন্ত্রকে ব্লক করতে পারে। গর্ভাবস্থয় এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলে জানা যায় নি।
কাতিলা গাম কোথায় পাওয়া যায়
কাতিলা গাম বাজারের যে কোন ভেষজ দোকানে খোঁজ করলে পাবেন। এছাড়াও ফেসবুক ও অন্য অনলাইন সপ গুলোতে পাবেন। দারাজেও কাতিলা গাম পাওয়া যায়
কাতিলা গমের দাম
১ কেজি কাতিলা গাম এর দাম ৯২০ টাকা।/ 1kg 920 Taka.
৫০০ গ্রামকাতিলা গাম এর দাম ৪৭৫ টাকা।/ 500gm 475 Taka.
২৫০ গ্রাম কাতিলা গাম এর দাম ২৫০ টাকা।/ 250gm 250 Taka.
১০০ গ্রাম কাতিলা গাম এর দাম ১১০ টাকা।/ 100gm 110 Taka.
৫০ গ্রাম কাতিলা গাম এর দাম ৬০ টাকা।/ 50gm 60 Taka.
২৫ গ্রাম কাতিলা গাম এর দাম ৩৫ টাকা।/ 25gm 35 Taka.
তালমাখনা ও কাতিলা গাম
তালমাখনা ও কাতিলা গাম একসাথে খেলে অনেক উপকার হয়। কাতিলা গাম ও তালমাখনা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে নিচের আর্টিকেলটি পড়ুনঃ
আরো পড়ুনঃ তালমাখনা কি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা