বন্ধুরা আপনার অনেকে কারমিনা সিরাপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আজকে কারমিনা সিরাপ এর কার্যকারিতা উপকারিতা এবং কারমিনা সিরাপ খেলে কি হয়, কারমিনা সিরাপ এর কাজ কি, কারমিনা সিরাপ কবুতর কে কেন খাওয়ানো হয় বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেল টি পড়ার অনুরোধ রইলো।
কারমিনা সিরাপ এর কাজ কি
কারমিনা সিরাপ পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক এর জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করে। এছাড়াও যকৃতের এবং শক্তিবর্ধক কাজে বিশেষভাবে কার্যকরী। যারা অল্প কাজ করে হাঁপিয়ে যান তাদের জন্য কারমিনার অনেক উপকার করে। কারমিনা পেঠের বায়ুনাশক হিসেবে কাজ করে। অনেকের পেটে বুদবুদ এবং গ্যাস এর সমস্যা রয়েছে তারা কারমিনা সিরাপটি খেতে পারেন। কোষ্ঠ কাঠিন্যে অর্থাৎ যাদের পায়খানা কষা তাদের জন্য এই সিরাপ। অনেকের পায়খানা কষা হওয়ার কারণে মলদারে রক্ত জরে তারা কারমিনা সিরাপ খেলে উপকারে আসবে।
কারমিনা সিরাপ এর কার্যকারিতা
- পাকস্থলীর দুর্বলতা
- যকৃতের দুর্বলতা,
- হজমের দুর্বলতা,
- অম্লাধিক্য পেটফাঁপা,
- বায়ুজনিত পেটফাঁপা,
- অগ্নিমান্দ্য অরুচি,
- চুকা ঢেকুর,
- বমিভাব ও কোষ্ঠ কাঠিন্যে কার্যকারী।
কারমিনা সিরাপ এর উপকারিতা
👉কারমিনা হজমের যাবতীয় গোলযোগ ও রোগব্যাধি দূর করার কাজে বিশেষভাবে কার্যকারী।
👉স্বকীয়, সুনির্দিষ্ট ও সুনির্বাচিত উপাদান সমূহের কারনেই কারমিনা বিশেষভাবে লেবারকে ক্রিয়াশীল করে।
👉লিভারের বিপাকীয় কর্যক্রম অত্যান্ত সুন্দরভাবে সংশোধন করে।
👉শুধু তাই নয় বরং লিভারের গোলযোগ দুর করিয়া এর কার্যক্রমকে স্বাভাবিক করে। এজন্যই লিভারের যাবতীয় সমস্যা কারমিনা ব্যবহারে সেরে যায়।
👉কারমিনা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী ও সক্রিয় করে হজম ক্রিয়ার সাহায্য করে। পরিপাকতন্ত্রের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে।
👉কোষ্ঠ কাঠিন্যে অর্থাৎ যাদের পায়খানা কষা তাদের জন্য এই সিরাপ।
👉 অনেকের পায়খানা কষা হওয়ার কারণে মলদারে রক্ত জরে তারা কারমিনা সিরাপ খেলে উপকারে আসবে।
কারমিনা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ২ চা-চামচ দিনে ২-৩ বার আহারের পরে সেব্য।
অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১ চা-চামচ দিনে ২-৩ বাকী আহারের পর অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
👉ছোট বোতলে ১০০ মিলি এবং বড় বোতলে ৪৫০ মিলি সিরাপ রয়েছে।
👉বিঃদ্রঃ সিরাপ-১৫ দিন থেকে ১ মাস, প্রয়োজনবোধে আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
কারমিনা ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ১-২ ট্যাবলেট দিনে ২ বার আহারের পরে সেব্য।
অপ্রাপ্ত বয়স্কঃ ১/২-১ ট্যাবলেট দিনে ২-৩ বার আহারের পরে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শমত সেব্য।
👉পেটের ব্যাথাঃ ২ ট্যাবলেট হাল্কা গরম পানিসহ সেব্য। ব্যথা না কমলে ১ ঘন্টা পরে পুনরায় দেয়া যেতে পারে।
👉বদহজমঃ ২ ট্যাবলেট ঠান্ডা পানিসহ সেব্য।
পুরাতন বদহজমঃ ১ ট্যাবলেট খাওয়ার আগে ও ১ ট্যাবলেট খাওয়ার পরে পানিসহ সেব্য।
👉পেট ফাঁপা বা পেট ফোলাঃ খাওয়ার পর ২ ট্যাবলেট ঠান্ডা পানিসহ সেব্য।
ট্যাবলেট – ১৫ দিন থেকে ১ মাস পযন্ত খেতে পারেবেন। একটা এর বেশি খাওয়া যাবে না। চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট খেতে পারেন।
বিঃদ্রঃ সাদা বোতলে ৬০টি ট্যাবলেট থাকে।
কারমিনা সিরাপ এর দাম
কারমিনা ছোট এবং বড় দুটি বোতলে পাওয়া যায়। এছাড়াও কারমিনা ট্যাবলেট আকারে রয়েছে।
কারমিনা ছোট বোতল এর দাম ৫০ টাকার মতো।
কারমিনা বড় বোতল এর দাম ১৩০ টাকা।
কারমিনা ট্যাবলেট এর দাম ৭৬ টাকা।
কারমিনা সিরাপ কবুতরের জন্য
কারমিনা সিরাপ কবুতরকে খাওয়ালে বিশেষ কিছু উপকার রয়েছে। কবুতর এর বমিবমি ভাব দুর হয়। খাওয়ার রুচি বাড়ে। কবুতরের পায়খানার সকল সমস্যার জন্য বিশেষ কার্যকরী। কবুতরের পায়খানার দুর্গন্ধ দুর করে।
কারমিনা সিরাপ উপাদানঃ
প্রতি ৫ মিলিতে আছে-
👉Trachyspermum ammo (জৈন) ১০০ মিগ্রা
👉Piper nigrum (গোলমরিচ) ১৫০ মিগ্রা
👉Citrus aurantifolia (লেবু) ১০০ মিগ্রা
👉Zingiber officinale শুঁঠ (শুষ্ক আদা) ১০ মিগ্রা
👉Phyllanthus emblica (আমলকী) ৫০ মিগ্রা
👉Terminalia chebula (হরীতকী) ৩৮ মিগ্রা
👉Cinnamomum zeylanicum (দারুচিনি) ৫০ মিগ্রা
👉Terminalia bellerica (বহেড়া) ৩৮ মিগ্রা
👉Sea salt ( সামুদ্রিক লবণ) ৮ মিগ্রা
কারমিনা ট্যবলেট এর উপাদানঃ
প্রতি ট্যাবলেটে আছে-
👉Piper nigrum (গোলমরিচ) ৬০ মিগ্রা
👉Citrus aurantifolia (লেবু) ৪০ মিগ্রা
👉Trachyspermum ammo (জৈন) ৪০ মিগ্রা
👉Cinnamomum zeylanicum (দারুচিনি) ২০ মিগ্রা
👉Phyllanthus emblica (আমলকী) ২০ মিগ্রা
👉Terminalia chebula (হরীতকী) ১৫ মিগ্রা
👉Terminalia bellerica (বহেড়া) ১৫ মিগ্রা
👉Zingiber officinale শুঁঠ (শুষ্ক আদা) ০৪ মিগ্রা
👉Sea salt ( সামুদ্রিক লবণ) ১৬ মিগ্রা