< গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গাজরের পুষ্টিগুণ - সঠিক তথ্যের ঘর
ফলের উপকারিতা

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গাজরের পুষ্টিগুণ

গাজর খুব পরিচিত একটি মূল জাতীয় খাবার। গাজর এর ইংরেজি নাম হলো carrot এবং বৈজ্ঞানিক নাম Daucus carota। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপ অঞ্চলে গাজর বেশি পাওয়া যায়। গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই আছে। পৃথিবীর অর্ধেক গাজরেই প্রায় চীন দেশে উৎপাদিত হয়। গাজর খুব সুস্বাধু একটি সবজি। গাজর রান্না করে এবং কাঁচা খাওয়া যায়।

গাজর হলো সুপার food। শীতকালে নানা রকম রোগ প্রতিরোধ করে গাজর। গাজর ত্বকের জন্য খুব উপকারী। নিয়মিত গাজর খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। গাজর মুখ পরিষ্কার রাখে এবং দাঁত ভালো রাখে। গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য গাজর খুব ভালো সবজি।

গাজরের পুষ্টি উপাদান

গাজরে রয়েছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন এর কাজ চোখের পুষ্টি যোগানো। গাজরে রয়েছে প্রচুর আঁশ জাতীয় উপাদান। আঁশ জাতীয় উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ১০০ গ্রাম গাজর থেকে ৮২৮৫ মাইক্রোগ্রাম বিটাক্যারোটিন এবং ১৬৭০৬ ওট ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। আরো রয়েছে ৪১ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি, ২.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ভিটামিন ‘বি-১’ ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘বি-২’ ০.০৫ মিলিগ্রাম; ২.২ মিলিগ্রাম লৌহ, ৫.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৩.২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘কে’, ১৯ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ৩২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।

আরো পড়ুনঃ  এক নজরে দেখে নিন কলার উপকারিতা ও অপকারিতা

আরো পড়ুন

কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং গাজর খেলে কি হয়

ভিটামিনে সহায়ক

গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ চোখের সমস্যা সমাধান করে। গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগান দেয়

গাজরে থাকে ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যারটিনয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। আমাদের রক্ত সদ্ধিকরণেও এই উপাদানটি কাজ করে।

উজ্জ্বল ত্বক

গাজরের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম। এই উপাদানগুলো আমাদের ত্বক ভালো রাখে। এসব উপাদান ত্বক ফেটে যাওয়া ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।

রোধ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

গাজর আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের উচিত প্রতিদিন গাজরের জুস খাওয়া। জুস রোগ জীবাণু, ভাইরাস এবং প্রদাহের প্রতিরোধ করে। জুসে ভিটামিন ছাড়াও খনিজ পদার্থ থাকে।

গাজরের উপকারিতা

কোলেস্টরেল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।

কোলেস্টরেল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে গাজরের ভূমিকা অনেক। গাজরে খুব কম পরিমানে সুগার থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গাজর খুব ভালো উপকারী। ডায়াবেটিস কমানোর জন্য যেসকল খনিজ পদার্থ দরকার গাজরে তা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা

ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে

গাজরে থাকা উপকারী উপাদান ফুসফুসের ভালো রাখে। ফুসফুসের প্রদাহ প্রতিরোধ করে। দাঁতের সুরক্ষা এবং দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

ক্যালসিয়ামের অভাব পুরণ করে

নিয়মিত গাজর বা গাজরের জুস খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। গাজর দেহের ক্যালসিয়ামের অভাব পুরণ করতে সক্ষম।

আমাদের শেষ কথা

গাজর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। গাজর নিয়মিত এবং পরিমাণমতো খাওয়া দরকার। পরিমান মতো গাজর যেমন উপকারী অতিরিক্ত গাজর ক্ষতিকর। যারা নিয়মিত ওষধ এবং করেন তারা কম খাবেন। প্রচুর গরমে গাজর খাবেন না। এতে রাতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। লিখাটি পরে ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পেতে আমাদের FB Page ফলো করুন।

You cannot copy content of this page

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker